ভবনের পাঁচতলায় একটি লাইব্রেরি রয়েছে। এতে সকল শ্রেণির বইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন রেফারেন্স বই, গল্প, উপন্যাস, কবিতা, ইতিহাস-ঐতিহ্য, বিজ্ঞান, তথ্য প্রযুক্তিসহ প্রায় দুই হাজার বই এবং দৈনিক পত্রিকা রয়েছে। শিক্ষার্থীরা অফ পিরিয়ডে বসে বই বা পত্রিকা পড়তে পারে এবং আইডি কার্ড প্রদর্শন করে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বাসায় বই নিয়ে পড়তে পারে। বর্তমানে লাইব্রেরির দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) জনাব মো: শফিউল বাশার আরিফ।

বিএএফ শাহীন কলেজ বগুড়ার শিশু থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক বা নির্বাচনি ফলাফলের উপর ভিত্তি করে প্রথম স্থান অধিকারী শিক্ষার্থীকে আনুষ্ঠানিকভাবে এক কালীন শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। এছাড়াও সরকারি বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট মেয়াদে বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ প্রদান করা হয়।

অফিস ও ক্লাস চলাকালীন শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের জন্য একজন প্রশিক্ষিত শিক্ষক সর্বদা দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

বিএএফ শাহীন কলেজ বগুড়ায় সুসজ্জিত ICT LAB রয়েছে। এই ICT LAB এ উন্নতমানের ডেক্সটপ কম্পিউটারের ব্যবস্থা রয়েছে।

বিএএফ শাহীন কলেজ বগুড়ায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ব্যবহারিক সিলেবাস অনুযায়ী সকল বিষয়ের জন্য অত্যন্ত উন্নতমানের বিজ্ঞানাগার রয়েছে। ল্যাবের দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষকরা খুবই আন্তরিকতার সাথে ব্যবহারিক ক্লাস সম্পন্ন করে থাকে।

এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শরীরচর্চা এবং শারীরিক ও মানসিক উন্নয়নে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। এখানে ফুটবল খেলার জন্য সুবিশাল মাঠ রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ইনডোর গেমসের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতি বছর আন্ত:শাহীন বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

বিএএফ শাহীন কলেজ বগুড়ার ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্কাউটের সদস্য হিসেবে ভর্তি হওয়ার সুযোগ রয়েছে। সদস্যদের প্রশিক্ষণ নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অংশগ্রহণ করা, শীতকালীন আবাসিক ক্যাম্পিংয়ে অংশগ্রহণ করা, এমনকি শ্রেষ্ঠ ক্যাডেটদের বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য বাস রয়েছে। যার ফলে শিক্ষার্থীরা বগুড়া শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খুব সহজেই কলেজে যাতায়াত করতে পারে।

গুণগত ও মানসম্মত খাবার পরিবেশনের জন্য একটি ক্যান্টিন রয়েছে। টিফিন পিরিয়ডে শিক্ষার্থীরা ও শিক্ষক-কর্মচারীরা মানসম্মত খাবার গ্রহণ করতে পারেন।